নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজারের চকরিয়া ভেন্ডিবাজার এলাকায় একটি যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে নারী-শিশুসহ ৭ জন নিহত হয়েছে। রবিবার (১৫ আগস্ট ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ভেন্ডিবাজার সংলগ্ন গ্রিন ভ্যালি কমিউনিটি সেন্টারের পশ্চিম পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যোবাইর এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এ ঘটনায় নিহতরা হলেন- চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী এলাকার ইসমাইলের স্ত্রী হাজেরা বেগম (৫৫), প্রদীপের স্ত্রী পুর্ণিমা (৩০), তার শিশু সন্তান সার্থক (২), ডুলাহাজারা এলাকার রতন বিজয় (৫৫) ও তার স্ত্রী মধুমিতা (৪৫)। অন্য ২ জনের পরিচয় এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
আহতরা হলেন- নিহত পূর্ণিমা দে’র স্বামী প্রদীপ দে (৪৫) ও তাদের শিশু কন্যা শ্যামলী (৫), মানিকগঞ্জের বাবর আলী (১৮) ও অজ্ঞাত এক ব্যক্তি। তন্মধ্যে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কক্সবাজার ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী নোয়া (ভক্সি) গাড়িটি (চট্ট মেট্টো-চ- ১১-২৬৯০) ফাঁসিয়াখালী ভেণ্ডিবাজারস্থ এটিএন পার্ক কমিউনিটি সেন্টারের কাছে পৌঁছলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক পথচারী নারী ধাক্কা দেয়। এ সময় গাড়িটি সড়কের পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে সজোরে ধাক্কা খেলে গাড়িটির একটি দরজা খুলে ছিটকে পড়ে। এরপর অন্তত ২০ গজ দূরে গিয়ে গাড়িটি সড়ক থেকে গভীর খাদে ডোবার পানিতে ডুবে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৫ জন নিহত হন। হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেও ২ জন মারা যান।
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক রিয়াসাদ আজিম সিদ্দিকী জানান, এই দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ৪ জন যাত্রী। ৩ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অন্যজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ্একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অজ্ঞাত পরিচয়ের লাশটি হাইওয়ে পুলিশের কাছে রয়েছে। বাকি মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, দুর্ঘটনার পর পরই উৎসুক মানুষের ভিড়ে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এ সময় থানার পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অকুস্থলে ছুটে গিয়ে হতাহতদের একে একে উদ্ধার তৎপরতা চালান। এ সময় গাড়িটি ক্রেন দিয়ে তোলা হয়। এর পর মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।